রাতে যাত্রীর ভিড় বেড়েছে সায়েদাবাদে

রাজধানীতে শুরু হয়েছে ঘরমুখো মানুষের চাপ। শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) থেকে ঈদের ছুটি শুরু। তাই বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) অফিস শেষে অনেকেই ঈদের ছুটি কাটাতে বাড়ি যাচ্ছেন। সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালের কাউন্টারগুলোতে সন্ধ্যা গড়াতেই ভিড় বাড়তে থাকে, রাতে সেই ভিড় আরও বেড়ে যায়।

তবে পরিবহন সংশ্লিষ্টদের কথায় ভিন্ন সুর। তারা বলছেন, প্রতি বছর স্বাভাবিক সময়ে ঈদে যাত্রীদের যে চাপ থাকে এবার সেই তুলনায় অনেকটাই কম। যারা যাচ্ছেন তাদের অধিকাংশই অগ্রিম টিকিট কেটেছেন। কাউন্টারগুলোতে বৃহস্পতিবারের যাত্রী কম। এদিকে, যাত্রীরা বলছেন ঈদযাত্রায় ভোগান্তি কমাতে আগেই বাড়ি যাচ্ছেন তারা।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে যাত্রী ও বাস কাউন্টারগুলোতে কথা বলে এমনটাই জানা গেছে।

ইফতার শেষে অনেকেই এসেছেন বাস কাউন্টারগুলোতে। কেউ নিজে একা, কেউবা বন্ধুবান্ধব নিয়ে একসঙ্গে, কেউ ছেলে-মেয়েসহ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে। তারা সবাই ঈদের কেনাকাটাসহ প্রয়োজনীয় জিনিস নিয়ে বাড়ি যাচ্ছেন।

ঈদের ছুটিতে হবিগঞ্জে গ্রামের বাড়ি যাওয়ার বিষয়ে বেসরকারি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আইয়াস জাগো নিউজকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস-পরীক্ষা আগেই শেষ হয়েছিল। মায়ের চিকিৎসার জন্য একটু সময় লেগেছে। টিকিট পেয়ে বাসের জন্য অপেক্ষা করছি গ্রামের বাড়ি যাবো বলে। জ্যামের কারণে বাস আসতে কিছুটা দেরি করছে।

ঢাকায় একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন মোহাম্মদ ইশতিয়াক জামিল। শেষ মুহূর্তে কয়েকটি রোজা পরিবারের সঙ্গে করতে অফিস শেষেই ঈদের ছুটিতে বাড়ি যাচ্ছেন তিনি। ইশতিয়াক বলেন, রোজা আরও কয়েকটা বাকি। যে কয়েকটা রয়েছে সেগুলো পরিবারের সঙ্গে রাখতে চাই। তাছাড়া ঈদে যাতায়াতের শেষ মুহূর্তের ভোগান্তি এড়িয়ে যেতে আগেই চলে যাচ্ছি।

এবার গামেন্টস ছুটিও কয়েক দফায় হওয়ার কথা রয়েছে। গামেন্টসে চাকরি করেন মনির হোসেন। গামেন্টস বন্ধ হওয়ায় সিলেটে গ্রামের বাড়ি যাচ্ছেন তিনি। এ সময় তিনি জানান, গার্মেন্টস ছুটি হয়ে গেছে তাই আজকে চলে যাচ্ছি। কাল-পরশু টিকিট পাওয়া নিয়ে ঝামেলা থাকতে পারে তাই আগেই যাচ্ছি।

সন্ধ্যায় যাত্রীদের সংখ্যা বিকেলের চেয়ে বেশি ছিলো। তবে এ নিয়ে ভিন্ন কথা শোনালেন শ্যামলী পরিবহনের টিকিট বিক্রেতা প্রবিত্র। তিনি বলেন, ঈদের ছুটিতে যেমনটা আশা করেছিলাম তেমন যাত্রী নেই। কাল-পরশু কেমন হয় সেটা দেখে বোঝা যাবে লোকজনের চাপ বেড়েছে কিনা।

গ্রিন লাইন পরিবহনের কাউন্টার মাস্টার আমিনুল ইসলাম তুষার জাগো নিউজকে বলেন, আমাদের সব যাত্রী অগ্রিম টিকিট যারা কেটেছে তারাই। নতুন আজ যেসব যাত্রী আসছে তারা টিকিট পাচ্ছে না। নতুন বাস না মানলে নতুন করে কাউকে টিকিট দেওয়াও যাচ্ছে না।

আরএসএম/এমপি/



https://ift.tt/K5PXLiA
from jagonews24.com | rss Feed https://ift.tt/M5jsaAv
via IFTTT
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url