ভয় কাটিয়ে জয় মোস্তাফিজদের

লক্ষ্যটা খুব বড় ছিল না। মোস্তাফিজুর রহমানের দারুণ বোলিংয়ে ১৪৬ রানেই আটকে গিয়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। তবে ১৪৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমেও হারের শঙ্কা পেয়ে বসেছিল দিল্লি ক্যাপিটালসকে।

মাত্র ১১ ওভার পেরোতেই ৮৪ রানের মধ্যে ইনিংসের অর্ধেকটা খুইয়ে বসে দিল্লি। ১১৩ তুলতে হারায় ৬ উইকেট। তবে রভম্যান পাওয়েল ঠান্ডা মাথায় দলকে জয় এনে দিয়েছেন। তার ১৬ বলে ৩৩ রানের হার না মানা ইনিংসে ভর করে ৪ উইকেট আর ১ ওভার হাতে রেখেই জিতেছে দিল্লি। পেয়েছে নিজেদের চতুর্থ জয়।

রান তাড়ায় নেমে ১৭ রানের মধ্যে পৃথ্বি শ (০) আর মিচেল মার্শকে (৭ বলে ১৩) হারালেও ডেভিড ওয়ার্নার দলকে সঠিক পথেই রেখেছিলেন। কিন্তু দশম ওভারে উমেশ যাদব ওয়ার্নারকে (২৬ বলে ৮ চারে ৪২) তুলে নিলে হঠাৎ খেই হারায় দিল্লি।

দুই রানের মধ্যে খুইয়ে বসে ৩ উইকেট। এর মধ্যে ছিলেন অধিনায়ক রিশাভ পান্তও (২)। ভীষণ বিপদে পড়া দলকে এরপর কিছুটা পথ টেনে নেন অলরাউন্ডার অক্ষর প্যাটেল। ১৫তম ওভারের শেষ বলে তিনি (১৭ বলে ২৪) রানআউট হয়ে গেলে আবারও আশা ফিরেছিল কলকাতার।

কিন্তু রভম্যান পাওয়েল সেই আশা শেষ করে দিয়েছেন। ১৬ বলে ৩৩ রানের ইনিংস খেলতে একটি চারের সঙ্গে ৩টি ছক্কা হাঁকান ক্যারিবীয় এই ব্যাটার। দলকে জিতিয়েই ছাড়েন মাঠ।

কলকাতার বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল ছিলেন পেসার উমেশ যাদব। ২৪ রান খরচায় তিনি নেন ৩টি উইকেট।

jagonews24

এর আগে হ্যাটট্রিক না পেলেও শেষ ওভারে ৩ উইকেট নিয়ে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে কাঁদিয়েছেন টাইগার কাটার মাস্টার মোস্তাফিজুর রহমান। তার দুর্দান্ত বোলিংয়ের সামনে দাঁড়িয়ে ৯ উইকেটে ১৪৬ রানের বেশি তুলতে পারেনি শ্রেয়াস আয়ারের দল।

ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে টস জিতে বোলিং বেছে নেন দিল্লি ক্যাপিটালস অধিনায়ক রিশাভ পান্ত। প্রথম ওভারেই মোস্তাফিজুর রহমানকে আক্রমণে ডাকেন তিনি। টাইগার পেসার পাওয়ের প্লের শুরুটা করেন দুর্দান্ত, দেন মাত্র ২ রান।

শুরুর সেই ধাক্কায় ৩৫ রানে ৪ উইকেট হারায় কলকাতা। মোস্তাফিজ অবশ্য উইকেট পাননি প্রথম দুই ওভারে। তবে ইনিংসের প্রথম আর ষষ্ঠ ওভার মিলিয়ে দেন মাত্র ৭ রান।

বিপদে পড়া কলকাতাকে টেনে তোলার দায়িত্ব নেন আয়ার আর নিতিশ রানা। পঞ্চম উইকেটে ৩৩ বলে ৪৮ রান যোগ করেন তারা। ১৪তম ওভারে এসে কুলদ্বীপ তুলে নেন আয়ার (৩৭ বলে ৪২) আর আন্দ্রে রাসেলকে (০)। ৮৩ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে আবার ধুঁকতে থাকে কলকাতা।

এমন জায়গায় দাঁড়িয়ে ঝড় তুলেন নিতিশ রানা। ১৮তম ওভারে শেষ স্পেল করতে এসে মোস্তাফিজ দুই বাউন্ডারিসহ দেন ১০ রান। পরের ওভারের প্রথম বলে শার্দুল ঠাকুরকে ছক্কা হাঁকিয়ে ৩০ বলে ফিফটি তুলে নেন রানা।

মারমুখী রানাকে শেষ পর্যন্ত আউট করেন মোস্তাফিজই। ইনিংসের শেষ ওভারের দ্বিতীয় বলে রিংকু সিংকে (১৬ বলে ২৩) রভম্যান পাওয়েলের ক্যাচ বানান ফিজ। পরের বলটা পায়ে লাগিয়ে কোনোমতে এক রান নেন উমেশ যাদব।

চতুর্থ বলে মোস্তাফিজকে তুলে মারতে গিয়ে বাউন্ডারিতে সাকারিয়ার দারুণ ক্যাচ হন রানা। ৩৪ বলে ৩ বাউন্ডারি আর ৪ ছক্কায় বাঁহাতি এই ব্যাটার করেন ৫৭ রান। পরের বলে দুর্দান্ত এক ইয়র্কারে টিম সাউদিকে বোল্ড করেন মোস্তাফিজ।

সবমিলিয়ে ৪ ওভারে মাত্র ১৮ রান দিয়ে মোস্তাফিজ নেন ৩ উইকেট। ১৪ রানে ৪ উইকেট নেন কুলদ্বীপ যাদব।

এমএমআর/এমপি



https://ift.tt/nkH0DOg
from jagonews24.com | rss Feed https://ift.tt/A7gPRmx
via IFTTT
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url