স্ত্রীর মরদেহ হাসপাতালে রেখে পালালেন স্বামী

নেত্রকোনার মদনে নারীর মরদেহ হাসপাতালে রেখে স্বামী ও স্বজনরা পালিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮টার দিকে নেত্রকোনার মদন হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। পরে মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈীর করে মদন থানা পুলিশ।

মৃত সাজেদা আক্তার (২৫) মদন উপজেলার মদন ইউনিয়নের বাগধাইর গ্রামের হুমায়ূন মিয়ার স্ত্রী। সাজেদা আক্তারের বাবার বাড়ি পাশের উপজেলা কেন্দুয়ার বেগুনি গ্রামে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সাজেদা আক্তারের মরদেহ মদন হাসাপতালেই ছিল।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মদন সদর ইউনিয়নের মৃত আলী হোসেনের ছেলে হুমায়ূন। ৯ বছর আগে পারিবারিকভাবে সাজেদার সঙ্গে তার বিয়ে হয়। তাদের ৭ বছর বয়সী একটি ছেলেও রয়েছে। ৩ বছর মালয়েশিয়া কাটিয়ে ২ মাস আগে দেশে আসেন তিনি। আবার মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিলে এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য হয়।

এর জেরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় দড়ি বেঁধে গলায় ফাঁস নেন সাজেদা আক্তার। এসময় হুমায়ূনের চিৎকারে প্রতিবেশীরা সাজেদা আক্তারকে উদ্ধার করে মদন হাসাপাতালে নিয়ে গেলে কতর্ব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ খবর শুনেই হুমায়ূন স্ত্রীর মরদেহ হাসপাতালে রেখেই পালিয়ে যান। পরে পুলিশ আসলে প্রতিবেশী ও স্বজরাও সটকে পড়েন।

এ বিষয়ে হুমায়ূনের বড় ভাই আবুল বাশার বলেন, সাজেদা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে শুনে হাসাপতালে আসি। লাশের সঙ্গে পুলিশ আমাকে আটকে রাখলে সবাই পালিয়ে যায়। আমি একাই লাশের সঙ্গে আছি।

মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ফেরদৌস আলম বলেন, খবর শুনে হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়। তবে পুলিশ যাওয়ার আগেই ওই নারীর স্বামী পালিয়ে যান। লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এইচ এম কামাল/ইএ



from jagonews24.com | rss Feed https://ift.tt/RT03hfN
via IFTTT
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url