মোক্ষম সময়ে জ্বলে উঠলেন কোহলি, আশা টিকে রইলো ব্যাঙ্গালুরুর

তার ব্যাটিং ফর্ম নিয়ে সমালোচনার কমতি নেই। আইপিএলে আজকের ম্যাচের আগে ১৩ ইনিংসে মাত্র একটি হাফ সেঞ্চুরি। রান করেছেন কেবল ২৩৬। গড় ১৯.৬৭ করে।

বিরাট কোহলির এতটা হতশ্রী ব্যাটিং নিয়ে হতাশ পুরো ভারত। রবি শাস্ত্রী থেকে শুরু করে অনেকেই তাকে বিশ্রামের পরামর্শ দিচ্ছেন। বলছেন কিছুদিন বিরতি নিতে।

এমন পরিস্থিতিতে রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর একেবারে মোক্ষম সময়ে এসে জ্বলে উঠলো বিরাট কোহলির ব্যাট। হারলেই বিদায় নিশ্চিত। জিতলে আশা টিকে থাকবে। এমন পরিস্থিতিতে মুম্বাইর ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে টেবিল টপার গুজরাট টাইটান্সের মুখোমুখি হয়ে আজ ব্যাঙ্গালুরু জয়লাভ করেছে ৮ উইকেটের ব্যবধানে।

গুজরাট টাইটান্সের ছুঁড়ে দেয়া ১৬৯ রানের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে নেমে বিরা কোহলি আর ফ্যাফ ডু প্লেসিই ম্যাচটা শেষ করে দেন। দু’জন মিলে উদ্বোধনী উইকেটে ১৪.৩ ওভারে গড়ে তোলেন ১১৫ রানের জুটি। এ সময় আউট হন ডু প্লেসি। ৩৮ বলে ৪৪ রান করেন তিনি।

ডু প্লেসি আউট হলেও বিধ্বংসী চেহারায় দেখা যায় বিরাট কোহলিকে। ৫৪ বল খেলে তিনি করেন ৭৩ রান। ৮টি বাউন্ডারির সঙ্গে ২টি ছক্কার মার মারেনে তিনি।

১৭তম ওভারের চতুর্থ বলে রশিদ খানকে ছক্কা মারতে যান কোহলি। কিন্তু সম্পূর্ণ পরাস্ত হন। বল ব্যাটকে ফাঁকি দিয়ে প্যাডের ফাঁক গলে চলে যায় উইকেটরক্ষক ঋদ্ধিমান সাহার হাতে। খুব দ্রুত ঋদ্ধিমান উইকেট ভেঙে দেন। আউট হয়ে যান কোহলি। ততক্ষণে অবশ্য জয়ের আসল কাজটি সেরে ফেলেন তিনি।

গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ১৮ বলে অপরাজিত ৪০ রান করে জয়ের বাকি কাজ শেষ করেন। ৫টি বাউন্ডারির সঙ্গে তিনি ছক্কা মারেন ২টি। দিনেশ কার্তিক অপরাজিত থাকেন ২ রানে। গুজরাটের হয়ে ২ উইকেট নেন রশিদ খান।

এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে হার্দিক পান্ডিয়ার ৪৭ বলে ৬২ রানের ওপর ভর করে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৬৮ রান করেছিল গুজরাট টাইটান্স। ৩৪ রান করেন ডেভিড মিলার এবং ৩১ রান করেন ঋদ্ধিমান সাহা।

এই জয়ে ব্যাঙ্গালুরুর পয়েন্ট দাঁড়ালো ১৬। তারা উঠে এলো চতুর্থ স্থানে। রান রেট -০.২৫৩। শনিবার মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের কাছে দিল্লি হেরে গেলে ব্যাঙ্গালুরুর প্লে-অফ নিশ্চিত। আর যদি দিল্লি জিতে যায়, তাহলে ব্যাঙ্গালুরুকে বিদায় নিতে হবে। কারণ, দিল্লি আর ব্যাঙ্গালুরুর পয়েন্ট সমান হলেও রান রেটে এগিয়ে থাকবে দিল্লি।

ব্যাঙ্গালুরুর এই জয়ের সঙ্গে সঙ্গে বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেছে পাঞ্জাব কিংস এবং সানরাইজার্স হায়দরাবাদেরও। যদিও এই দুই দল শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হবে। কিন্তু তাদের মধ্যে বিজয়ী দলের কোনো লাভ হবে না। ১৪ পয়েন্ট হলেও তাদের আর প্লে-অফ খেলার সম্ভব হবে না। কেকেআর আগের দিনই বিদায় নিয়েছে মাত্র ২ রানে হেরে।

আইএইচএস/এমকেআর



https://ift.tt/7beW3w9
from jagonews24.com | rss Feed https://ift.tt/0ApPriH
via IFTTT
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url