লঞ্চ-স্পিডবোটে একদিনে লাখের বেশি যাত্রী পারাপার
ঈদকে কেন্দ্র করে দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার ঘরমুখো মানুষের আজ উপচেপড়া ঢল নামে শিমুলিয়া ঘাটে। রোববার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ফেরির পাশাপাশি লঞ্চ ও স্পিডবোট ঘাটে যাত্রী চাপে হিমশিম অবস্থা তৈরি হয়।
তবে বিকেল থেকে সন্ধ্যার দিকে চাপ অনেকটাই কমে আসে। এদিকে সকাল ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ঘাট হয়ে লঞ্চ ও স্পিডবোটযোগে পদ্মা পাড়ি দেয় ১ লাখ ১০ হাজার যাত্রী।
রোববার, (১ মে) বিআইডাব্লিউটিএ শিমুলিয়া ঘাটের নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী পরিচালক ও সহকারী বন্দর কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। অর্থাৎ প্রতি ঘণ্টায় যাত্রী পারাপারের হিসেব দাঁড়ায় প্রায় সাত হাজার, আর প্রতি মিনিটে শতাধিক।
শাহাদত হোসেন জানান, শনিবার রাতে নির্ধারিত সময়ের আগে বৈরি আবহাওয়ার কারণে বন্ধ থাকলেও রোববার সকাল থেকে আবার সচল হয় লঞ্চ চলাচল। সকাল হতেই চাপ পড়ে। ভোর ৫টা ৫০ মিনিট থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত লঞ্চে সর্বমোট ৩৭২টি ট্রিপ বাংলাবাজার ও মাঝিকান্দি নৌপথে ছেড়ে গেছে।
যাত্রী হিসেবে লঞ্চ ও স্পিডবোটে আনুমানিক ১ লাখ ১০ হাজার যাত্রী এ ঘাট দিয়ে পারাপার হয়েছে। সকাল থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত যাত্রীর অতিরিক্ত চাপ বিদ্যমান থাকলেও বিকেল থেকে শেষ অব্দি যাত্রীর চাপ ক্রমান্বয়ে কম ছিলো।
বিআইডাব্লিউটিএ সূত্রে জানা যায়, এদিন নৌরুটে ৮৫টি লঞ্চ ও ১৫৫ স্পিডবোট সচল ছিলো।
এদিকে বিআইডাব্লিউটিসি শিমুলিয়া ঘাটের সহকারী ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. মাহবুব জানান, লঞ্চ স্পিডবোটের পাশাপাশি নৌরুটে ১০টি ফেরি সচল রয়েছে। ঘাটের শৃঙ্খলা রক্ষায় ১নং ফেরি ঘাট দিয়ে আজও শুধুমাত্র মোটরসাইকেল পারাপার করা হয়। কয়েক হাজার যানবাহন পারাপার করা হয় দিনব্যাপী। বিকেল থেকে সন্ধ্যার দিকে চাপ একেবারেই কমে আসে।
আরাফাত রায়হান সাকিব/এমআরএম
https://ift.tt/IKMLg5C
from jagonews24.com | rss Feed https://ift.tt/gTxXmDE
via IFTTT