স্টোকস-বেয়ারেস্টোর অবিশ্বাস্য ব্যাটিং, দুরন্ত জয় ইংল্যান্ডের

২৯৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৯৩ রানেই নেই ৪ উইকেট। এরমধ্যে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, প্রথম টেস্টে জয়ের নায়ক এবং এই টেস্টের প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরিয়ান জো রুট আউট হয়ে গেছেন মাত্র ৩ রানে। প্রথম ইনিংসের আরেক সেঞ্চুরিয়ান ওলি পোপও আউট মাত্র ১৮ রান করে।

ইংল্যান্ডের হাল ধরবেন কে তাহলে? ট্রেন্ট বোল্ট, টিম সাউদিরা যেভাবে খোলস ছেড়ে বেরিয়ে এসে বিধ্বংসী রূপ দেখাচ্ছেন, তাতে করে ইংল্যান্ডই উল্টো পরাজয়ের শঙ্কায় পড়ে গিয়েছিল।

কিন্তু শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লড়তে জানা ইংল্যান্ড, বিশেষ করে অধিনায়ক বেন স্টোকস হাল ছাড়তে রাজি নন। টি-টোয়েন্টির গতিতে সেঞ্চুরি করেছেন জনি বেয়ারেস্টো। ৯২ বলে ১৩৬ রান করে আউট হলেন।

অধিনায়ক বেন স্টোকস আউট হননি। ওয়ানডে স্টাইলে ৭০ বলে ৭৫ রান করে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়লেন তিনি। ২৯৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে পঞ্চম দিন চতুর্থ ইনিংসে ঝড়ো গতিতে ব্যাট করে ৫ উইকেটে জয় তুলে নিয়েছে ইংল্যান্ড।

লর্ডসে প্রথম টেস্টেও ৫ উইকেটে জিতেছিল ইংলিশরা। ট্রেন্টব্রিজেও জিতলো ৫ উইকেটে। সে সঙ্গে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই জিতে নিলো স্বাগতিক ইংলিশরা। নতুন অধিনায়ক বেন স্টোকস আর কোচ ব্রেন্ডন ম্যাককালামের যাত্রাটা শুরু হলো সিরিজ জয়ের মধ্য দিয়েই।

৭ উইকেটে ২২৪ রান নিয়ে পঞ্চম দিন ব্যাট করতে নেমেছিল নিউজিল্যান্ড। দিনের প্রথম সেশনে প্রায় সাড়ে ১৫ ওভার ব্যাট করে ২৮৪ রানে অলআউট হয়ে যায় কিউইরা। ইংল্যান্ডের সামনে তাদের লিড দাঁড়ায় ২৯৮ রানের।

দিনের খেলা ১৫ ওভারের বেশি শেষ। বাকি আছে আর ৭৪ কিংবা ৭৫ ওভার। টেস্টের চতুর্থ ইনিংসে পঞ্চম দিন এই ৭৫ ওভারে ২৯৯ রান তাড়া করা দুঃস্বপ্নেরও সমান। কারণ, ক্রিজের অবস্থা থাকে খারাপ। ঝুঁকি নিতে গেলে উইকেট পড়ে দ্রুত।

এমন পরিস্থিতিতে মাত্র ৫০ ওভার খেলেই ২৯৯ রান তুলে ফেলেছে ইংল্যান্ড। একেবারে আদর্শ ওয়ানডে ম্যাচে রূপ দিয়েছে তারা। যদিও ঝুঁকি নিতে গিয়ে শুরুতে কিছুটা মূল্য দিতে হয়েছে।

শুরুতেই কোনো রান না করে বিদায় নেন জ্যাক ক্রাউলি। অ্যালেক্স লিস ৪৪ রান করলেও ১৮ রানে আউট হন ওলি পোপ। জো রুট বিদায় নেন ৩ রান করে। ৯৩ রানে নেই ৪ উইকেট।

কিন্তু অন্য ধাতুতে গড়া সম্ভবত বেয়ারেস্টো এবং স্টোকস। বোল্ট, সাউদি, ম্যাট হেনরি কিংবা মিচেল ব্রেসওয়েলদের চোখ রাঙানি উপেক্ষা করে তারা গড়লেন ১৭৯ রানের অনবদ্য এক জুটি।

জনি বেয়ারেস্টো খেলেছেন রীতিমত টি-টোয়েন্টি স্টাইলে। ৭৭ বলে সেঞ্চুরি পূরণ করেন তিনি। ৯টি বাউন্ডারি আর ৫টি ছক্কা মেরে। শেষ পর্যন্ত আউট হন ৯২ বলে ১৩৬ রান করে। ১৪টি বাউন্ডারির সঙ্গে ছক্কা মারেন ৭টি। ম্যাচ সেরার পুরস্কারও জেতেন বেয়ারেস্টো।

বেন স্টোকসের ৭০ বলে খেলা ৭৫ রানের ইনিংসটি সাজানো ছিল ১০টি বাউন্ডারি আর ৪টি ছক্কায়। ১৫ বলে ১২ রান করে অপরাজিত ছিলেন বেন ফোকস। ৩ উইকেট নেন ট্রেন্ট বোল্ট। ১টি করে নেন সাউদি আর ম্যাট হেনরি।

প্রথম ইনিংসে ৫৫৩ রান করেছিল নিউজিল্যান্ড। জোড়া সেঞ্চুরি করেন ড্যারিল মিচেল (১৯০) এবং টম ব্লান্ডেল (১০৬)। জবাবে জোড়া সেঞ্চুরিতে ইংল্যান্ডও করে ৫৩৯ রান। ১৭৬ রান করেন জো রুট এবং ১৪৫ রান করেন ওলি পোপ।

দ্বিতীয় ইনিংসে তিন হাফ সেঞ্চুরির সুবাধে ২৮৪ রান করে অলআউট হয় নিউজিল্যান্ড। ফলে ২৯৯ রানের লক্ষ্য দাঁড়ায় ইংল্যান্ডের সামনে। ওভারপ্রতি ৫.৯৮ করে নিয়ে ৫০ ওভারেই জয় তুলে নেয় ইংল্যান্ড।

আইএইচএস/



https://ift.tt/1AGVEjb
from jagonews24.com | rss Feed https://ift.tt/oq8lXgL
via IFTTT
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url