বন্দরে জনস্রোত, অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে ছাড়ছে লঞ্চ
প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন শেষে কর্মস্থলে ফিরছেন মানুষ। ঈদের ষষ্ঠ দিন শুক্রবার বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চল থেকে সড়ক ও নৌপথে যাত্রীদের ভিড় দেখা গেছে। এদিন বরিশাল নদীবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া ১৭টি লঞ্চের তিল ধারণেও ঠাঁই ছিল না। নির্ধারিত সময়ে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় প্রতিটি লঞ্চ।
শুক্রবার (১৫ জুলাই) সন্ধ্যায় সরেজমিনে বরিশাল নদীবন্দর এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়ার জন্য বন্দরে বিশাল বিশাল বেশ কয়েকটি লঞ্চ অপেক্ষা করছে। পন্টুনে ছিল যাত্রীদের ভিড়। হুড়োহুড়ি, ঠেলাঠেলি করে অনেকে পরিবার-পরিজন নিয়ে লঞ্চে উঠছেন। সন্ধ্যার পরপরই যাত্রীতে পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে প্রতিটি লঞ্চ।
একাধিক লঞ্চের ভেতরে প্রবেশ করে দেখা যায়, লঞ্চের ডেকে গাদাগাদি করে যাত্রীরা বসে আছেন। প্রথম শ্রেণির যাত্রীদের কেবিনের সামনেও বসানো হয়েছে সাধারণ যাত্রীদের। ছাদেও যাত্রী তোলা হয়েছে। ধারণক্ষমতার চেয়ে প্রতিটি লঞ্চই অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে বন্দর ছেড়ে গেছে।
বরিশাল-ঢাকা রুটে চলাচলকারী এমভি মানামী লঞ্চের ব্যবস্থাপক (কাস্টমার সার্ভিস) মো. রিজওয়ান হোসেন রিপন জাগো নিউজকে বলেন, পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর নৌপথে যাত্রী সংকট তৈরি হয়েছিল। স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় শতকরা ৩০ থেকে ৫০ শতাংশ যাত্রী কম চলাচল করেছেন। কিন্তু আজ নদীবন্দরে চিরচেনা রূপ দেখা গেছে। সন্ধ্যার পর থেকে ছেড়ে যাওয়া সব লঞ্চেই আশানুরূপ যাত্রী হয়েছে। সব কয়টি লঞ্চেই যাত্রীদের ভিড় ছিল। আশা করছি সামনের দিনগুলোতেও লঞ্চে যাত্রী পাওয়া যাবে।
বিআইডব্লিউটিএ বরিশাল কার্যালয়ের বন্দর কর্মকর্তা মো. আব্দুর রাজ্জাক জাগো নিউজকে বলেন, রোববার ঈদ উদযাপনের পর সোমবার থেকেই নৌপথে কর্মস্থলমুখী মানুষের যাত্রা শুরু হয়। তবে ঈদের পর আজ বরিশাল নদীবন্দরে সবচেয়ে বেশি যাত্রীর চাপ ছিল। রাত সোয়া ৮টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত সুন্দরবন কোম্পানির দুটি, সুরভী কোম্পানির দুটি, কীর্তনখোলা কোম্পানির দুটি, পারাবত কোম্পানির তিনটিসহ মোট ১৭টি লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে। সব লঞ্চেই ভালো যাত্রী ছিল।
তিনি জানান, দুর্ঘটনা এড়াতে বিআইডব্লিউটিএর সদস্যরা সতর্ক দৃষ্টি রেখেছেন। অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন না করতে লঞ্চ কর্তৃপক্ষকে বারবার অনুরোধ করা হয়েছে। কোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ছাড়াই রাত ৯টার মধ্যে ঢাকার উদ্দেশ্যে ১৭টি লঞ্চ বন্দর ছেড়ে গেছে।
এদিন সকাল থেকে দিনভর নৌপথের মতো সড়কপথেও ছিল ঈদযাত্রীদের চাপ। নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে বিরামহীনভাবে বাসে ঢাকামুখী যাত্রী পরিবহন করতে দেখা গেছে।
বরিশাল জেলা বাস মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক কিশোর কুমার দে জাগো নিউজকে বলেন, পদ্মা সেতু চালুর পর বরিশাল-ঢাকা সড়কপথে উল্লেখযোগ্য হারে যাত্রী বেড়েছে। ঈদ উপলক্ষে তা আরও কয়েকগুণ বেড়েছে। কাউন্টারগুলোর সামনে যাত্রীদের জটলা থাকছেই। বিরামহীনভাবে বিভিন্ন কোম্পানির বাস ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাচ্ছে।
এদিকে ঈদের পর কর্মস্থলমুখী যাত্রীদের সার্বিক নিরাপত্তায় নগরীর নদীবন্দর ও নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
সাইফ আমীন/এমকেআর
https://ift.tt/iLYbPAE
from jagonews24.com | rss Feed https://ift.tt/ocSbBpu
via IFTTT