অবশেষে ঝোড়ো জুটি ভাঙলেন মোসাদ্দেক
ইনিংসের চতুর্থ ওভারে ২৬ রানে ২ উইকেট হারিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সেখান থেকে ব্রেন্ডন কিং আর নিকোলাস পুরানের ঝোড়ো এক জুটিতে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় স্বাগতিকরা।
কিছুতেই কিছু হচ্ছিল না। কিং-পুরানের জুটি ভাঙতে রীতিমতো গলদঘর্ম হতে হয়েছে বাংলাদেশকে। অবশেষে বল হাতে নিয়েই ১৩তম ওভারে ৫৫ বলে ৭৪ রানের এই জুটিটি ভেঙেছেন মোসাদ্দেক হোসেন।
মোসাদ্দেকের ঘূর্ণিতে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে প্যাডে লেগে যায় পুরানের। আম্পায়ার আঙুল তুলে দেন আবেদনে। যদিও রিভিউ নিয়েছিলেন ক্যারিবীয় অধিনায়ক। কাজ হয়নি। ৩০ বলে ৩৪ রান করে তাকে ফিরতে হয়েছে সাজঘরে।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১৩ ওভার শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১০০ রান। ব্রেন্ডন কিং ৪৫ আর রভম্যান পাওয়েল শূন্য রানে অপরাজিত আছেন।
ডমিনিকার উইন্ডসর পার্কে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে টস হেরে প্রথমে ফিল্ডিং পায় বাংলাদেশ দল। ব্যাটিংয়ে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ করে উড়ন্ত সূচনা।
দলে ফেরা তাসকিন আহমেদের প্রথম ওভারে ১৪ রান তুলে নেয় ক্যারিবীয়রা। কাইল মায়ার্স হাঁকান একটি চার আর ছক্কা। দ্বিতীয় ওভারেও চড়াও হয়েছিলেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। শেখ মেহেদি হাসানের প্রথম বলেই মারেন চার।
তবে এরপর দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ান মেহেদি। পরের তিন বলে এক রানও দেননি। পঞ্চম বলে তো অফস্পিন ভেল্কিতে বোল্ডই করে দেন ভয়ংকর মায়ার্সকে। হাঁটু গেড়ে স্লগ সুইপ খেলতে গিয়ে মিডল স্টাম্প হারান ৯ বলে ১৭ করা মায়ার্স।
এক ওভার পর আরও এক আঘাত ক্যারিবীয় ইনিংসে। এবার সাকিব আল হাসানকে স্লগ সুইপ খেলতে গিয়ে আকাশে বল তুলে দেন শামারাহ ব্রুকস (০)। শর্ট মিডউইকেটে ক্যাচটি তালুবন্দি করতে একদমই কষ্ট হয়নি মাহমুদউল্লাহর। ২৬ রানে ২ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা।
তারপরও পাওয়ার প্লের প্রথম ৬ ওভারে ২ উইকেটে ৪৫ রান তোলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আস্তে আস্তে হাত খোলেন নিকোলাস পুরান আর ব্রেন্ডন কিং। তৃতীয় উইকেটে এই যুগল ক্যারিবীয়দের বড় পুঁজির ভিত গড়ে দেন।
এমএমআর/কেএসআর
https://ift.tt/dON6VKT
from jagonews24.com | rss Feed https://ift.tt/6Ub47u9
via IFTTT