যুবদল নেতা দিদার হত্যার ১২ বছর পর আসামি গ্রেফতার

লক্ষ্মীপুরে যুবদল নেতা শিক্ষানবিশ আইনজীবী দিদারুল আলম হত্যার ১২ বছর পর মো. হিরন ভূঁইয়া নামে এক আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুক্রবার (২১ অক্টোবর) রাত ৮টার দিকে সদর উপজেলার উত্তর হামছাদী ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি মামলার এজাহার নামীয় ২ নম্বর আসামি।

হিরন একই এলাকার ভূঁইয়া বাড়ির রফিক উল্যা ভূঁইয়ার ছেলে। হিরন বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয়। হিরন ও প্রয়াত দিদার একই বাড়ির বাসিন্দা ছিলেন। বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণেই এ হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়।

মামলা সূত্র জানায়, ২০১২ সালের ৩০ অক্টোবর জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আবুল খায়ের ভূঁইয়া ও খালেদা জিয়ার সাবেক প্রধান নিরাপত্তা সমন্বয়কারী কর্নেল (অবঃ) আবদুল মজিদের অনুসারীদের মধ্যে উত্তর হামছাদী ইউনিয়নের কালিবাজার এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

ওইদিন সংঘর্ষে দিদার নিহত হন। এ ঘটনায় পরদিন দিদারের স্ত্রী রেহানা আক্তার বাদী হয়ে কর্নেল মজিদসহ ২৫ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।

একইদিন (২০১২ সালের ১ নভেম্বর) কর্নেল মজিদের অনুসারী জহির হোসেন বাদী হয়ে নেতাকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় লক্ষ্মীপুর আদালতে মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় জেলা বিএনপির সভাপতি ও লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সাংসদ আবুল খায়ের ভূঁইয়াসহ ১৪ জনকে আসামি করা হয়েছিল।

জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট হাসিবুর রহমান বলেন, তখন পুলিশের তদন্তে চার্জশিট থেকে কর্নেল মজিদের নাম বাদ পড়েছে। দিদার উপজেলা ছাত্রদলের সঙ্গে রাজনীতি করেছে। পরে যুবদলের পদ-পদবিতে এসেছে কিনা তা আমার জানা নেই। দিদার হত্যা মামলাটি বিচারাধীন।

লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসলেহ উদ্দিন বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হত্যা মামলার আসামি হিরনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি থানা পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।

কাজল কায়েস/এমআরএম



https://ift.tt/ogdh8iU
from jagonews24.com | rss Feed https://ift.tt/D9Am258
via IFTTT
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url