গতির পসরা সাজিয়ে আহ্বান পার্থ স্টেডিয়ামের

  • ইমতিয়াজ আহমেদ জিতু

জমজমাট টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুত অস্ট্রেলিয়া। ২০২২ আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসর বসতে যাচ্ছে তাসমান সাগরের পাড়ের এই দেশটিতে। টুর্নামেন্টের ম্যাচ আয়োজন করবে অ্যাডিলেড, ক্ল্যারেন্স, জিলং, পার্থ, ব্রিসবেন, মেলবোর্ন ও সিডনি।

টুর্নামেন্টের সেমিফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ড এবং অ্যাডিলেড ওভালে। ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ স্টেডিয়াম মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে।

এই বিশ্বকাপে ১৬টি দল অংশগ্রহণ করবে। নয়নাভিরাম ও অপার সৌন্দর্যমন্ডিত অস্ট্রেলিয়ার মাঠের উইকেটের আচরণ হবে ভিন্ন। চিরাচরিত পেসারদের স্বর্গভূমি আর টেকনিক্যাল দক্ষতাসম্পন্ন ব্যাটারদের সহায়ক হবে অজিদের মাঠের পিচ।

তাহলে আমরা জেনে নেই স্টেডিয়ামগুলোর সংক্ষিপ্ত পরিচিতি এবং মাঠের পিচের আচরণ সম্পর্কে। এবারের আয়োজন পার্থ স্টেডিয়াম নিয়ে।

পার্থ স্টেডিয়াম

পার্থ স্টেডিয়াম পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার বার্সউড উপকূলে অবস্থিত । ২০১৭ সালের শেষের দিকে এর কাজ সমাপ্ত হয় এবং ২০১৮ সালের ২১ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে এর উদ্বোধন করা হয়।

এই মাঠের ধারণ ক্ষমতা ৬১ হাজার ২৬৬ জন। ২০১৮ সালের ১৪ ডিসেম্বর এই মাঠে প্রথম টেস্ট ম্যাচ (অস্ট্রেলিয়া বনাম ভারত) অনুষ্ঠিত হয়। একই বছরের ২৮ জানুয়ারি এই মাঠে প্রথম ওয়ানডে ম্যাচ (অস্ট্রেলিয়া বনাম ইংল্যান্ড) অনুষ্ঠিত হয়।

পার্থে দলীয় গড় রান ১৬৩। এই মাঠের দলীয় সর্বোচ্চ স্কোর (বিগ ব্যাশে) ২১৩ রান। ২০১৯ সালের নভেম্বরে প্রথম আর্ন্তজাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে অস্ট্রেলিয়া ১০ উইকেটে পাকিস্তানকে হারিয়েছিল। পাকিস্তান প্রথমে ব্যাট করে ৮ উইকেটে ১০৬ রান করেছিল।

পিচ কেমন আচরণ করবে

এই মাঠের পিচ বিশ্বের দ্রুতগামি পিচগুলোর অন্যতম। যা কখনো পরিবর্তন হয় না। এই পিচ থেকে পেসাররা অতিরিক্ত বাউন্স পাবে। এই পিচে বোলিংটা উপভোগ করবে পেসাররা। দ্বিতীয় ইনিংসেও পিচের অবস্থা একই থাকবে। ধীর গতির হবে না।

তবে ব্যাটাররা একবার এ পিচে সেট হতে পারলে তাদের পচ্ছন্দের শট অনায়াসে খেলতে পারবে। আউটফিল্ড অনেক দ্রুত হওয়ায় সহজেই বলকে সীমানা পার করা কঠিন হবে না ব্যাটারদের জন্য।

আইএইচএস/



https://ift.tt/ogdh8iU
from jagonews24.com | rss Feed https://ift.tt/LpVIq9J
via IFTTT
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url