‘সাংবাদিকদের কল্যাণে শেখ হাসিনার অবদান যুগান্তকারী’
বাংলাদেশের গণমাধ্যম ও সাংবাদিকদের কল্যাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেওয়া পদক্ষেপগুলোকে অনন্য ও যুগান্তকারী বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
রোববার (১১ ডিসেম্বর) বিকেলে ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কের কার্যালয় ‘গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং মানবাধিকার’ গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরেই বাংলাদেশের টেলিভিশন চ্যানেল এবং বেতার বেসরকারি খাতে উন্মোচিত হয়েছে। শুধু বিটিভি ছিল, এখন ৪৫টি বেসরকারি টিভি চ্যানেল। শুধু বাংলাদেশ বেতার থেকে এখন ২৭টি এফএম ও ৩২টি কমিউনিটি রেডিও লাইসেন্স পেয়েছে। গত ১৪ বছরে পত্র-পত্রিকার সংখ্যা বেড়েছে তিনগুণ। আর কত হাজার অনলাইন পত্রিকা হয়েছে, তা গবেষণার বিষয়।
তিনি বলেন, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও সব মানুষের সমান অধিকারের কথা আমাদের সংবিধানে প্রোথিত এবং দেশের গণমাধ্যম পূর্ণ স্বাধীনভাবে শুধু কাজই করছে না, দ্রুত বিকাশও লাভ করছে।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে বৈঠকে এক প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান বলেন, বাংলাদেশ ডিজিটাল হয়েছে। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে সবার নিরাপত্তা ও মর্যাদা রক্ষার জন্যই এ আইন। বিশেষ কোনো মানুষ, গোষ্ঠী বা পেশার জন্য নয়। আশপাশের দেশ ভারত, পাকিস্তান, সিঙ্গাপুর থেকে শুরু করে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ কন্টিনেন্টাল ইউরোপের দেশগুলো, অস্ট্রেলিয়াসহ বিশ্বের বহু দেশে এ আইন আছে। কারণ এর বাস্তব প্রয়োজন রয়েছে।
মন্ত্রী এ সময় এ আইনের ফলে একজন গৃহিণী কীভাবে তার চরিত্রহননের অন্যায়ের প্রতিকার পেয়েছেন, সে উদাহরণ দেন। তিনি বলেন, অনেক সাংবাদিক এ আইনের সুরক্ষা নিয়েছেন এবং আইনটির অপপ্রয়োগ রোধে সরকার সতর্ক দৃষ্টি রাখছে।
বৈঠকের সঞ্চালক জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক গোয়েন লুইস স্বাগত ভাষণে পঞ্চমবারের মতো জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের সদস্য হিসেবে রেকর্ড ভোটে বাংলাদেশের নির্বাচিত হওয়া এবং এদেশে গণমাধ্যমের ক্রমবর্ধমান বিকাশের কথা উল্লেখ করেন। আলোচনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ঢাকায় নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নাতালি শোয়ার্দ
বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ-টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, এডিটরস গিল্ড সভাপতি মোজাম্মেল হক বাবু, দৈনিক ইত্তেফাক সম্পাদক তাসমিমা হোসেন, আর্টিকেল ১৯ এর বাংলাদেশ প্রধান ফারুখ ফয়সল, অধ্যাপক ড. কাবেরী গায়েন, জাপান দূতাবাসের দ্বিতীয় সচিব কোবায়াশি ইয়োশিয়াকি, ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি, জাতিসংঘের কর্মকর্তা ও গণমাধ্যম প্রতিনিধিরা বৈঠকে দেশে গণমাধ্যমের আরও উন্নয়নে তাদের মতামত তুলে ধরেন।
আইএইচআর/এমআরএম
https://ift.tt/JA3rlWy
from jagonews24.com | rss Feed https://ift.tt/dr9yMQo
via IFTTT