সুযোগগুলো কাজে লাগাতে পারলে ভারত আজই অলআউট হতো: তাইজুল

স্রেয়াশ আয়ার নিজেকে ভাগ্যবান ভাবতেই পারেন। একবার দু’বার নয়। তিন তিনবার আউটের হাত থেকে বেঁচে দিন শেষে ৮২ রানে নট আউট এ ভারতীয় মিডল অর্ডার। ৩০ ও ৬৭ রানে বাংলাদেশের ফিল্ডারদের হাতে জীবন পেয়েছেন স্রেয়াশ। প্রথমে সাকিবের বলে ৩০ রানে উইকেটের পিছনে। উইকেটকিপার সোহান তা ধরে রাখতে পারেননি।

এরপর আবার ৬৭ রানে নিশ্চিত আউট হতে হতে বেঁচে গেছেন স্রেয়াশ আয়ার। এবার বোলার ছিলেন মেহেদি মিরাজ। তার তুলে মারা বিগ হিট ডিপ মিডউইকেট সীমানার খুব কাছে দাঁড়িয়ে দু’হাতে ধরেও ফেলে দেন এবাদত।

আর ৭৭ রানে গিয়ে এবাদতের বলে বোল্ড হয়েও বেলস না পড়ায় নটআউট থেকে গেছেন স্রেয়াশ। সেটাই শেষ নয়। ভারতের হয়ে আজ চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম দিন সর্বাধিক ৯০ রান করা চেতেশ্বর পুজরাও এবাদতের বলে সোহানের হাতে একবার ক্যাচ আউটের হাত থেকে বেঁচে যান।

সব মিলিয় বাংলাদেশের ফিল্ডাররা তিনটি ক্যাচ ফেলেছেন আর বল উইকেটে গিয়ে আঘাত হানার পরও বেলস না পড়ায় ভাগ্যগুনে বেঁচে যান স্রেয়াশ আয়ার। না হয় দিন শেষে ৬ উইকেটে ২৭৮ এর বদলে তিনশোর আশপাশে অলআউটও হয়ে যেতেও পারতো ভারত।

তাই দিন শেষে বাংলাদেশ বাঁ-হাতি স্পিনার তাইজুল আফসোসের সুরেই বলেছেন, ‘সুযোগগুলো যদি নিতে পারতাম, হয়তো ভারতীয়দের এর মধ্যেই অলআউট করতে পারতাম আমরা।’

আজ বুধবার জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল বোলার ছিলেন তাইজুল। ৩০ ওভারে ৮ মেডেন সহ ৮৪ রানে ৩ উইকেট শিকারি তাইজুল। তার বলেই ফিরে গেছেন ভারতের ব্যাটিং স্তম্ভ বিরাট কোহলি।

লেগ মিডলে পিচ পড়া ডেলিভারিটি বেশ দ্রুতগতিতে টার্ন করে সোজা অফস্টাম্প সোজা প্যাডে লাগে বিরাটের। আর তাতেই মাত্র ১ রানে লেগবিফোর উইকেটের ফাঁদে জড়ান বিরাট। এছাড়া দিনের শেষ দিকে তাইজুলের আরেক টার্নিং ডেলিভারিতে বোল্ড হয়ে গেছেন ভারতীয় মিডল অর্ডারের নির্ভরতার প্রতীক চেতেশ্বর পুজারা।

পুজারাকে বোল্ড করা সম্পর্কে তাইজুল বলেন, ‘লাইন-লেন্থটা খুব ভালো ছিল আর কি। হয়তো কয়েকটা মিস করেছে। দেখা গেছে ওটা একটু বেশি টার্ন করেছে, টার্নটা খুব সুক্ষ ছিল। সে সোজা ডেলিভারি ভেবে খেলেছে, বল হালকা টার্ন থাকায় স্ট্যাম্প হিট করেছে।’

এআরবি/আইএইচএস



https://ift.tt/DiE6xo4
from jagonews24.com | rss Feed https://ift.tt/m6rZQ7L
via IFTTT
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url