ক্রাইমে সেরা মিরপুর, গোয়েন্দায় গুলশান বিভাগ

ঢাকা মহানগরের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও জননিরাপত্তা বিধানসহ ভালো কাজের স্বীকৃতি হিসেবে শ্রেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তাদের পুরস্কৃত করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।

এতে ক্রাইম বিভাগের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হয়েছে মিরপুর বিভাগ, গোয়েন্দা বিভাগে প্রথম হয়েছে গোয়েন্দা-গুলশান বিভাগ ও ট্রাফিক বিভাগের মধ্যে প্রথম হয়েছে ট্রাফিক-ওয়ারী বিভাগ।

সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সে নভেম্বর মাসের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় শ্রেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যদের পুরস্কৃত করেন তিনি।

নভেম্বর মাসে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ৮টি ক্রাইম বিভাগের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হয়েছে মিরপুর বিভাগ। শ্রেষ্ঠ থানা হয়েছে মোহাম্মদপুর থানা। সহকারী পুলিশ কমিশনারদের মধ্যে প্রথম হয়েছেন তেজগাঁও বিভাগের মোহাম্মদপুর জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার দেবাশীষ কর্মকার। পুলিশ পরিদর্শকদের (তদন্ত) মধ্যে শ্রেষ্ঠ হয়েছেন মোহাম্মদপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ মোহাম্মদ কামরুজ্জামান। পুলিশ পরিদর্শকদের (অপারেশনস্) মধ্যে প্রথম হয়েছেন যাত্রাবাড়ী থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশনস্) জাকির হোসাইন।

শ্রেষ্ঠ এসআই যৌথভাবে নির্বাচিত হয়েছেন চকবাজার মডেল থানার এসআই মো. নুর উদ্দিন ও পল্লবী থানার এসআই মো. সাইফুল ইসলাম। বিস্ফোরক উদ্ধার করে প্রথম হয়েছেন চকবাজার মডেল থানার এসআই মো. নুর উদ্দিন। মাদকদ্রব্য উদ্ধার করে শ্রেষ্ঠ হয়েছেন পল্টন মডেল থানার এসআই সুজন কুমার তালুকদার এবং চোরাই গাড়ি উদ্ধার করে শ্রেষ্ঠ হয়েছেন গেন্ডারিয়া পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মো. নাজমুল হাসান মোল্লা, মোহাম্মদপুর থানার এসআই মতিউর রহমান ও ভাটারা থানার এসআই মো. মশিউল আজম ভূইয়া।

অস্ত্র উদ্ধার করে প্রথম হয়েছেন যাত্রাবাড়ী থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশনস্) জাকির হোসাইন। আর ওয়ারেন্ট তামিলকারী অফিসার হিসেবে শ্রেষ্ঠ নির্বাচিত হয়েছেন পল্লবী থানার এসআই মো. সাইফুল ইসলাম। এএসআইদের মধ্যে যৌথভাবে শ্রেষ্ঠ হয়েছেন মতিঝিল থানার এএসআই মো. হেলাল উদ্দিন ও মিরপুর মডেল থানার এএসআই মোবারক হোসেন।

৯টি গোয়েন্দা বিভাগের মধ্যে প্রথম হয়েছে গোয়েন্দা-গুলশান বিভাগ। শ্রেষ্ঠ টিম লিডার ও মাদকদ্রব্য উদ্ধারে শ্রেষ্ঠ টিম হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন ওয়ারী-বিভাগের ডেমরা জোনাল টিমের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. আজহারুল ইসলাম মুকুল। চোরাই গাড়ি উদ্ধারে শ্রেষ্ঠ টিম লিডার হয়েছেন গোয়েন্দা-লালবাগ বিভাগের কোতয়ালী জোনাল টিমের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. কায়সার রিজভী। অজ্ঞান/মলম পার্টি গ্রেফতারে শ্রেষ্ঠ টিম লিডার নির্বাচিত হয়েছেন গোয়েন্দা-রমনা বিভাগের অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও মাদক নিয়ন্ত্রণ টিমের সহকারী পুলিশ কমিশনার নাজিয়া ইসলাম। অস্ত্র উদ্ধারে শ্রেষ্ঠ টিম লিডার নির্বাচিত হয়েছেন গোয়েন্দা-মতিঝিল বিভাগের অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও মাদক নিয়ন্ত্রণ টিমের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন।

৮টি ট্রাফিক বিভাগের মধ্যে প্রথম হয়েছে ট্রাফিক-ওয়ারী বিভাগ। ট্রাফিকের শ্রেষ্ঠ সহকারী পুলিশ কমিশনার হয়েছেন ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগের যাত্রাবাড়ী-ট্রাফিক জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার বাহা উদ্দিন ভূঁঞা। শ্রেষ্ঠ ট্রাফিক ইন্সপেক্টর হয়েছেন ট্রাফিক ওয়ারী-বিভাগের যাত্রাবাড়ী-ট্রাফিক জোনের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর হোসেন জাকারিয়া মেনন। শ্রেষ্ঠ ট্রাফিক সার্জেন্ট যৌথভাবে নির্বাচিত হয়েছেন রমনা বিভাগের ট্রাফিক-রমনা জোনের সার্জেন্ট মফিজুর রহমান ও ট্রাফিক গুলশান বিভাগের বাড্ডা-ট্রাফিক জোনের মোর্শেদা।

এছাড়াও ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগসহ ১৩টি বিভাগ ও বিভিন্ন পদ মর্যাদার অফিসার ও ফোর্সকে বিশেষ পুরস্কার প্রদান করা হয়।

প্রতি মাসে ঘটে যাওয়া অপরাধ বিশ্লেষণ, অপরাধ নিয়ন্ত্রণে পরবর্তী কর্মপন্থা ও কর্মকৌশল সম্পর্কিত নির্দেশনার পাশাপাশি মাঠ পর্যায়ের পুলিশ সদস্য ও কর্মকর্তাদের উদ্দীপনা বাড়াতে প্রতিমাসের কার্যক্রম পয়েন্ট আকারে যোগ করে পরবর্তী মাসের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় পুরস্কৃত করে থাকেন ডিএমপি কমিশনার।

মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) মীর রেজাউল আলম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস্) এ কে এম হাফিজ আক্তার, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমান ও অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো. আসাদুজ্জামান, যুগ্ম পুলিশ কমিশনার, উপ-পুলিশ কমিশনার ও বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

টিটি/এমএইচআর



https://ift.tt/XKfRLg9
from jagonews24.com | rss Feed https://ift.tt/dchSRLw
via IFTTT
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url