জন্ম-মৃত্যু সনদ জালিয়াতি: দালালকে পাঠানো হলো জেলে

জন্ম ও মৃত্যু সনদ জালিয়াতিতে জড়িত এক দালালকে ৪৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এই ব্যক্তির নাম দুর্জয় ফিরোজ।

মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) অঞ্চল-১ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মেরীনা নাজনীন এই দণ্ড দেন।

জানা যায়, গত বছরের ডিসেম্বরে আনোয়ারা বেগম নামে এক নারীর স্বামী মারা যান। স্বামীর মৃত্যু সনদের প্রয়োজন হলে বর্তমানে বসবাস করা ফ্রি স্কুল স্ট্রিটের ঠিকানায় জন্ম সনদের আবেদন করেন। এজন্য তিনি এক দালালকে দেন ছয় হাজার টাকা। সেই দালাল দক্ষিণ সিটি থেকে জন্ম সনদ সংগ্রহ না করে ভুয়া ঠিকানা দেখিয়ে অন্য আরেক সিটি করপোরেশনের আঞ্চলিক অফিস থেকে জন্ম নিবন্ধন সনদ সরবরাহ করেন।

আরও পড়ুন: জন্ম নিবন্ধনে ভুল থাকলে যেভাবে সংশোধন করবেন

এরপর নিয়মানুযায়ী মৃত্যু নিবন্ধন সনদের জন্য আবেদন করেন ওই নারী। এই কাজটি করে দেওয়ার কথা বলে দুর্জয়ের আরেক সহযোগী মলি ওই নারীর কাছ থেকে ৯ হাজার টাকা নিয়ে আরেক দালালকে দেন। কিন্তু দীর্ঘদিন হলেও মৃত্যু সনদ সরবরাহ করতে না পারায় ওই নারী ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেরীনা নাজনীনের দপ্তরে যান।

এ সময় সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা ওই নারীর আবেদন ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পর্যবেক্ষণ করতে গিয়ে দেখেন যে, আবেদনে দেওয়া ঠিকানা দক্ষিণ সিটির অঞ্চল-১ এর আওতাধীন এলাকা হলেও তিনি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন হতে সংগ্রহ না করে অন্য আরেকটি সিটি করপোরেশনের একটি আঞ্চলিক কার্যালয় হতে জন্ম নিবন্ধন সনদ সংগ্রহ করেছেন। ফলে আবেদনকারী দালালকে ১৫ হাজার টাকা দিলেও দীর্ঘদিন ধরে মৃত্যু নিবন্ধন সনদ সংগ্রহ করতে পারেননি।

আরও পড়ুন: জন্মনিবন্ধন সনদ পেতে হয়রানি বন্ধে লিগ্যাল নোটিশ

এরপর ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিস্তারিত ঘটনা শুনে ফিরোজকে ফোন দিয়ে সিটি করপোরেশনে আনা হয়। এরপর জালিয়াতির মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ সনদ সরবরাহে জড়িত থাকার অপরাধে ফিরোজকে কারাদণ্ড দেন তিনি।

অঞ্চল-১ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মেরীনা নাজনীন বলেন, আমরা দক্ষিণ সিটির আওতাধীন সব বাসিন্দাদের দালালের খপ্পরে না পড়ে নিজ নিজ স্থায়ী ঠিকানার উপযুক্ত প্রমাণসহ সর্বোচ্চ ৫০ বা ১০০ টাকা ফি দিয়ে জন্ম-মৃত্যু সনদ সংগ্রহ ও সংশোধন করার জন্য অনুরোধ করছি।

আরও পড়ুন: জন্ম নিবন্ধন করা জরুরি কেন?

এমএমএ/জেডএইচ/



https://ift.tt/rIkQECS
from jagonews24.com | rss Feed https://ift.tt/ks3YylH
via IFTTT
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url