আসছে ৫০ বিলিয়ন ডলারের বাড়তি অর্থায়ন, সুবিধা পাবে বাংলাদেশও

যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে শুরু হতে যাচ্ছে বিশ্বব্যাংক ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বসন্তকালীন সভা। আগামী ১০ থেকে ১৬ এপ্রিল সভা অনুষ্ঠিত হবে। বিশ্বব্যাংকের সদস্যভুক্ত ১৮৯টি দেশের অর্থমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নররা অংশ নেবেন সভায়। এছাড়া অংশ নিচ্ছে ২ হাজার ৮০০ অতিথি, ৩৫০টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, ৮০০ সাংবাদিক ও ৫৫০ সুশীল সমাজের প্রতিনিধি।

অতিথিদের বরণ করতে নতুন রূপে সাজানো হয়েছে ১৭৭ কিলোমিটার আয়তনের ওয়াশিংটন ডিসিকে। এছাড়া বৈশ্বিক সংকট মোকাবিলায় ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বাড়তি অর্থায়নের ঘোষণা দেবে সংস্থাটির সহযোগী প্রতিষ্ঠান দ্য ইন্টারন্যাশনাল ব্যাংক ফর রিকন্সট্রাকশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (আইবিআরডি)। বাংলাদেশও আইবিআরডির সদস্য। ফলে এই বিশাল অর্থায়নের সুবিধা পাবে বাংলাদেশও।

এ নিয়ে বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ডেভিড ম্যালপাস বলেছেন, বিশ্বব্যাপী জনসাধারণের পণ্য কেনার জন্য অর্থায়ন দ্বিগুণ করা হয়েছে। ২০২০ থেকে ২০২২ অর্থবছরের তিন বছর সময়কালে ১০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি অর্থায়ন হয়েছে। এই পরিমাণের অর্ধেকেরও বেশি জলবায়ু খাতে অর্থায়ন করা হয়। আমাদের আর্থিক সক্ষমতা আরও বাড়ানোর জন্য আমরা ক্রমাগত বিকল্প পথগুলো খুঁজে বের করছি। আগামী ১০ থেকে ১৬ এপ্রিল ওয়াশিংটন ডিসিতে বিশ্বব্যাংকের বসন্তকালীন সভা হবে। এই সভা থেকে আগামী দশ বছরে বিশ্বব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান দ্য ইন্টারন্যাশনাল ব্যাংক ফর রিকন্সট্রাকশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (আইবিআরডি) ৫০ বিলিয়ন পর্যন্ত অর্থায়ন বাড়ানোর ঘোষণা করবে।

শনিবার (১ এপ্রিল) বিশ্বব্যাংকের ওয়াশিংটন ডিসি থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় এসব তথ্য।

ডেভিড ম্যালপাস বলেন, আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (আইডিএ) গত এক দশকে অর্থায়ন দ্বিগুণ করে এর পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৯৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এটি সম্ভব হয়েছে আর্থিক উদ্ভাবনের মাধ্যমে, যার মধ্যে প্রসিদ্ধ আইডিএ বন্ড ইস্যু করা রয়েছে। এখনো ৭০০ মিলিয়ন মানুষ প্রতিদিন দুই ডলারের কম আয় করে। তাদের বিশ্বের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পাওয়া উচিত।

তিনি আরও বলেন, মহামারি এবং ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের আগেই বিশ্বব্যাপী বাণিজ্যের পরিমাণ কমতে শুরু করেছিল। কিছু দেশের অসম বাণিজ্যিক নীতি প্রয়োগসহ বিশ্বব্যাপী বাণিজ্য ব্যবস্থার অবনতি সম্পর্কে যথেষ্ট উদ্বেগ ছিল। অতি সম্প্রতি কৃষকদের ভর্তুকি এবং আমদানিকৃত খাদ্যপণ্যের উপর শাস্তিমূলক শুল্ক সবকিছু টালমাটাল করেছে। উন্নয়নশীল দেশগুলোও দরিদ্র কৃষকদের ভর্তুকি দেয়নি। ফলে কৃষকদের টিকে থাকা কঠিন করে তুলেছে।

ডেভিড ম্যালপাস বলেন, কোভিড মহামারিতে লক্ষাধিক মানুষের জীবন গেছে। ব্যাপক কর্মসংস্থান হারিয়েছে এবং সরবরাহ চেইন ব্যাহত হয়েছে। সারাবিশ্বে এক বিলিয়ন শিশুর এক বছরেরও বেশি সময় শিক্ষাজীবনের ক্ষতি হয়েছে। মহামারির কারণে সামষ্টিক অর্থনীতিতে ধস নেমেছে। এর ফলে মুদ্রাস্ফীতি বেড়েছে। ইউক্রেনে যুদ্ধের ফলে জ্বালানি, খাদ্য এবং সারের সম্পূর্ণ ঘাটতি দেখা দেয়। এর ফলে বসন্তকালীন সভায় বিশ্বব্যাংক অর্থায়ন আরও বৃদ্ধির ঘোষণা দেবে।

এমওএস/এমএইচআর



https://ift.tt/FnNl5kE
from jagonews24.com | rss Feed https://ift.tt/NbcdQ2V
via IFTTT
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url