রাতের বঙ্গবাজারে বিক্রি বেশি, কিছুটা হলেও খুশি ব্যবসায়ীরা

চলতি সপ্তাহের শুরুতেই চৌকি বসিয়ে ব্যবসা চালু করেন বঙ্গবাজারের দোকানিরা। এরই মধ্যে গত কয়েকদিন ধরেই রাজধানীতে চলছে দাবদাহ। প্রচন্ড গরমে দিনের বেলা ক্রেতাদের আনাগোনা খুব একটা দেখা যায় না এ বাজারে। তবে সন্ধ্যা নামতেই ক্রেতারা বঙ্গবাজারে ভিড় জমান, বাড়ে কেনা-বেচা।

গত ৭ এপ্রিল ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে ছাড়খার হয়ে বঙ্গবাজারের প্রায় তিন হাজার দোকান। ঈদের আগ মুহূর্তে ভয়াবহ এই অগ্নিকাণ্ড অনেক ব্যবসায়ীকেই পথে বসিয়েছে। আগে বড় দোকান নিয়ে বসলেও এখন বঙ্গবাজারে গেলে মনে হয় ফুটপাতের দোকানগুলোর মতো পসরা সাজিয়ে বসেছেন পুড়ে যাওয়া দোকানগুলো মালিক।

jagonews24

বুধবার (১৯ এপ্রিল) রাত ১০টায় সরেজমিনে দেখা যায়, দিনের বেলা সূর্যের প্রখর তাপে ব্যবসায়ীরাই খোলা আকাশের নিচে বসতে পারেন না। সেসময় ক্রেতাদের উপস্থিতিও থাকে একেবারেই কম। তবে সন্ধ্যা নামার পরই ক্রেতাদের ভিড় বাড়তে থাকে। সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে ছেলেদের পাঞ্জাবি, শার্ট-প্যান্ট ও বাচ্চাদের কাপড়।

মো. রাফিন নামের এক ক্রেতা বলেন, বহু বছর ধরে বঙ্গবাজার থেকে ঈদের পোশাক কিনি। যেসব দোকান থেকে জামা-প্যান্ট কিনতাম সেগুলো সব পুড়ে গেছে। তবে ব্যবসায়ীরা খোলা আকাশের নিচেই আবার ব্যবসা শুরু করেছেন শুনে সারাদিনের ব্যস্ততা শেষে রাতে ঈদের কেনাকাটা করতে চলে এলাম।

ওমর ফারুক নামের এক ক্রেতা জাগো নিউজকে বলেন, দিনের বেলা কাজ থাকে। আবার বঙ্গবাজারে এখন রোদ ঠেকানোর কোনো ব্যবস্থা নেই, তাই রাতের বেলায় এসেছি ঈদের শপিং করতে।

ব্যবসায়ী মাহফুজুর রহমান সাকিব জাগো নিউজকে বলেন, রোদের তাপে ছাতাও গরম হয়ে যায়। ক্রেতারা কী আসবে? আমরাই তো দাঁড়িয়ে থাকতে পারি না। তবে সন্ধ্যার পর বেশ ভালো সংখ্যক ক্রেতা আসেন। কেনা-বেচাও বেশ ভালো চলছে। সব তো ‍পুড়ে শেষ, তারপরও কিছুটা হলেও ব্যবসা চালাতে পারছি। এতেই খুশি।

ব্যবসায়ী মো. দ্বিন ইসলাম খোকন জাগো নিউজকে বলেন, আমার সব পোশাক পুড়ে গেছে। গোডাউনে কিছু জামা-কাপড় ছিল, তা দিয়ে এখন ব্যবসা চালাচ্ছি। তবে রোদের কারণে দিনের বেলা বসতে পারি না। ক্রেতারাও তখন খুব বেশি আসে না। সন্ধ্যা থেকে রাতেই যা বিক্রি হয়।

আরএসএম/এসএএইচ



https://ift.tt/ONQzP3U
from jagonews24.com | rss Feed https://ift.tt/mb6CajZ
via IFTTT
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url