ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সরকারের আধুনিক অস্ত্র: ছাত্র অধিকার পরিষদ

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে সরকারের আধুনিক অস্ত্র বলে মন্তব্য করেছেন ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা। রোববার (৯ এপ্রিল) বিকেলে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র অধিকার পরিষদ কর্তৃক আয়োজিত এক সমাবেশে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা এমন মন্তব্য করেন।

সমাবেশে ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ চায় মাছ, মাংস আর চাউলের স্বাধীনতা। আর ক্ষমতাসীনরা চায় দুর্নীতি আর চুরির স্বাধীনতা। ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন দিয়ে সাড়ে চার বছরে প্রায় দুই হাজার আটশ মানুষকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

তিনি বলেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের ২১ ও ২৮ নম্বার ধারার মাধ্যমে যে কাউকে সরকার যেকোনো সময় গ্রেফতার করতে পারবে।

তিনি আরও বলেন, এইরকম একটি আইন দিয়ে সরকার মূলত আধুনিক যুগে একটি আধুনিক অস্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে। এই অস্ত্রের মাধ্যমে তারা প্রতিবাদী মানুষ, প্রতিবাদী সাংবাদিকদের দেশের যেখানেই পাচ্ছে সেখান থেকেই গ্রেফতরা করছে।

সমাবেশে ডাকসুর সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেন বলেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের মামলায় শতশত মানুষকে জেলে নির্মম জীবনযাপন করতে হচ্ছে। এটি এমন আইন যে আইনের ধারায় আই.সি.সি.পি.আর এর ধারাগুলোকে অমান্য করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত এই আইনে প্রধানমন্ত্রীকে কটুক্তির দায়ে দুই শতাধিক ব্যক্তিকে মামলা দেওয়া হয়েছে। শতাধিক মানুষকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কোবরা ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের মামলায় জেলখানায় রয়েছে। অথচ তার নামে সে রকম কোনো অভিযোগ নেই। সম্প্রতি মানুষের অধিকারের কথা বলায় এক সাংবাদিককে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

সমাবেশে কেন্দ্রীয় ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আদিব বলেন, আজকে ক্ষমতাসীন সরকার বলছে আমরা উন্নত রাষ্ট্রের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। আসলে তারা বিভিন্ন কলাকৌশল করে বাংলাদেশকে উত্তর কোরিয়ায় পরিণত করছে। ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের মাধ্যমে শুধু সাংবাদিকদের কণ্ঠরোধ নয় বিরোধীদল মতের কণ্ঠও রোধ করা হচ্ছে। আগামীর বাংলাদেশকে রক্ষা করতে হলে আমাদের ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন বাতিলের আন্দোলন কে বেগবান করতে হবে।

এএসবিডি/এমএসএম



https://ift.tt/GKENx5y
from jagonews24.com | rss Feed https://ift.tt/a86eodH
via IFTTT
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url