পদ্মা সেতু বন্যা মোকাবিলায় সহায়তা করবে: প্রধানমন্ত্রী

বন্যাদুর্গত সিলেট অঞ্চলে ত্রাণ ও পুনর্বাসনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আগামীতে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। দক্ষিণাঞ্চলে বন্যা আসে ভাদ্র মাসের দিকে। সরকার সেই বন্যা মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। এই বন্যাও আমরা মোকাবিলা করতে পারবো। পদ্মা সেতু এই বন্যা মোকাবিলায় সহায়তা করবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) জাতীয় সংসদে বাজেট অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে তিনি বলেন, সিলেট বিভাগ ও নেত্রকোণা জেলায় বন্যার ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা চলছে। এরই মধ্যে ক্ষতিগ্রস্তদের প্রয়োজনীয় ত্রাণ দেওয়া হয়েছে। চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পুনর্বাসন কাজও চলছে।

পদ্মা সেতু নির্মাণে উন্নয়নের স্বর্ণ দুয়ার উন্মোচিত হয়েছে উল্লেখ করে সরকার প্রধান বলেন, পদ্মা সেতুর ব্যয় নিয়ে অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন। কিন্তু বাস্তবতা পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, এই ব্যয় তুলনামূলক বেশি নয়। ১৯৯৭ সালে আমি যখন জাপান গিয়েছিলাম, তখন পদ্মা সেতু ও রূপসা নির্মাণের বিষয়ে আলোচনা করি। ওই সময়ে রূপসা সেতু নির্মাণ হলেও পদ্মা সেতু হয়নি। পরে ফের ক্ষমতায় আসলে এই সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেই।

তিনি বলেন, বিশ্ব ব্যাংক পদ্মা সেতুতে অর্থায়ন থেকে সরে গেলে আমরা নিজস্ব অর্থায়নে এই সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। সংসদে এই ঘোষণা দেওয়ার পর জনগণের ব্যাপক সাড়া পাই সর্বশেষ সেতু নির্মাণে সফল হয়েছি। এই সেতুতে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার যোগাযোগ ব্যবস্থার পরিবর্তন হবে। দেশের অর্থনীতিতে বড়ধরনের ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। এদেশ এগিয়ে যাচ্ছে এগিয়ে যাবে।

সংসদের বাজেট অধিবেশন প্রাণবন্ত ছিল বলে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই অধিবেশনে বিরোধী দলকে যথেষ্ট সুযোগ দিয়েছেন। বিশেষ করে বিএনপি নেতারা বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। ইচ্ছেমতো তারা কথা বলার সুযোগ পেয়েছেন। আর আমাদের যারা অফিসিয়াল বিরোধী দল তারাও আলোচনার করেছেন। অধিবেশনে ২২৮ জন সংসদ সদস্য বাজেট আলোচনায় অংশ নিয়েছেন। ৩৮ ঘণ্টা ৫৭ মিনিট আলোচনা হয়েছে। আলোচনায় অংশ নেওয়ার জন্য বিরোধী দলীয় নেতাসহ সকল সংসদ সদস্যকে ধন্যবাদ জানান তিনি।

এ সময় তিনি পদ্মা সেতু ব্যয় সংক্রান্ত সবধরনের তথ্য তুলে ধরেন। কেন এত ব্যয় হয়েছে তারও তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরেন।

এইচএস/এমআরএম



https://ift.tt/F78NWuT
from jagonews24.com | rss Feed https://ift.tt/XV5Hhvo
via IFTTT
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url