‘যৌক্তিক কারণ’ দেখালে মোটরসাইকেল চলাচলে বাধা দেবে না পুলিশ

‘যৌক্তিক কারণ’ দেখালে ঈদযাত্রায় মোটরসাইকেল চালকদের বাধা দেবে না পুলিশ। প্রয়োজনে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মোটরসাইকেলে বাড়ি যেতেও পারবে মানুষ। পুলিশ কর্মকর্তারা মনে করেন, ‘মোটরসাইকেল চালানো একজন মানুষের ব্যক্তিগত অধিকার।’

তবে সরকারের বিভিন্ন দপ্তর থেকে যেহেতু আদেশ দেওয়া হয়েছে, তা ফলো (অনুসরণ) করবেন তারা। মানুষকে মোটরসাইকেল চালানো থেকে পুলিশ সদস্যরা নিবৃত করার চেষ্টা করবে। শাস্তি দেওয়ার মতো কঠোর পদক্ষেপে না যাওয়ার ইঙ্গিত করেছেন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের কর্মকর্তারা।

বুধবার (৬ জুলাই) পুলিশের ত্রৈমাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় মোটরসাইকেল চলাচলে বিধিনিষেধ নিয়ে আলোচনা হয়। এসময় একাধিক পুলিশ কর্মকর্তা এমন মতামত তুলে ধরেন।

jagonews24

এদিকে, বিআরটিএ মোটরসাইকেলে চলাচলে যে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে, তাতে মানুষের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি করতে পারে বলে মনে করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এ সিদ্ধান্ত বাস্তবসম্মত নয় বলেও মত বাহিনীর কর্মকর্তাদের। এছাড়া মোটরসাইকেল চালানো ব্যক্তিগত অধিকার বলেও মনে করছেন তারা।

পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা জানান, ঈদের সময় প্রতিটি মোটরসাইকেল আটকে তার বাড়ি যাওয়ার কারণ জানার যৌক্তিকতা আছে বলে মনে করেন না তারা। ঈদযাত্রার সময়ে ১ থেকে ২ মিনিট রাস্তা বন্ধ থাকলে দীর্ঘ যানজটের আশঙ্কা তৈরি হয়। বৃহস্পিতবার (৭ জুলাই) থেকে ঢাকায় অন্তত ৮টি চেকপোস্টে পুলিশ থাকবে। সেখানে থাকবে ট্রাফিক পুলিশও।

অন্যদিকে ঈদের আগে ও পরে সাতদিন মহাসড়কে মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধের সরকারি নির্দেশনা কীভাবে কার্যকর করা হবে, তা এখনো স্পষ্ট নয়। যৌক্তিক প্রয়োজনে মোটরসাইকেলে এক জেলা থেকে অন্য জেলায় যাওয়ার অনুমতি হাইওয়ে পুলিশের কাছ থেকে কীভাবে মিলবে, সেটা নিয়েও পরিষ্কার কোনো ধারণা দিতে পারেননি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা।

জানতে চাইলে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, ‘দূরপাল্লার মোটরসাইকেল যাতায়াত বন্ধ রাখাটা যৌক্তিক। তবে একজন মানুষের মোটরসাইকেল চালানো তার ব্যক্তিগত অধিকার। এ নিয়ে বিতর্কও তৈরি হতে পারে।’

তিনি বলেন, ‘মোটরসাইকেলে একজন মানুষকে প্রয়োজনীয়তার জন্যই মুভ করতে হতে পারে। সাধারণত বাইক নিয়ে বাইরেও অনেকেই জরুরি কাজে বেরোতে পারেন। অসুস্থতা থাকতে পারে, সাংবাদিকরা তাদের কাজে মোটরসাইকেল নিয়ে বাইরে বের হতে পারেন, করোনাসহ বিভিন্ন রোগের আক্রান্তদের জন্য জরুরি চিকিৎসার প্রয়োজন হতে পারে। এমনকি অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়েও কেউ বাইকে বের হতে পারেন। তবে আদেশ যেহেতু হয়েছে, আমরা আদেশটি ফলো করবো।’

ট্রাফিক বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার মুনিবর রহমান বলেন, ‘তবে কেউ যদি যৌক্তিক ও সন্তোষজনক কারণ দেখাতে পারেন এবং যদি আমাদের কাছে মনে হয় সেটি লজিক্যাল, তাহলে তা অবশ্যই আমরা বিবেচনা করবো। সরকারি আদেশ বাস্তবায়ন করতে গেলে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসাতে হবে। এজন্য আমরা বিআরটিএর কাছে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চেয়েছি। তাহলে যৌক্তিকভাবে বিষয়টি কার্যকর করতে পারবো এবং মানুষের কাছেও তা গ্রহণযোগ্য হবে।’

যারা নির্দেশনা মানবে না, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে কি না, এমন প্রশ্নে ট্রাফিক বিভাগের প্রধান বলেন, ‘আইনগতভাবে এটি কোনো দোষ না। আমরা মানুষকে নিবৃত করবো।’

টিটি/এএএইচ



https://ift.tt/4JfDMb2
from jagonews24.com | rss Feed https://ift.tt/g0k3PKp
via IFTTT
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url