চট্টগ্রামে ৬ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা

 

চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদল নেতা সাইফুল ইসলামকে গুলি করে পঙ্গু করার অভিযোগে পুলিশের ছয় সদস্য এবং এক সোর্সের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে।

রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম অলি উল্লাহর আদালতে নালিশি মামলাটি দায়ের করেন পঙ্গুত্ববরণ করা সাইফুলের মা ছেনোয়ারা বেগম। আদালত বাদীর বক্তব্যগ্রহণ করে সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) পদমর্যাদার নিচে নয়, এমন পুলিশ কর্মকর্তাকে দিয়ে অভিযোগটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য সিএমপি কমিশনারকে নির্দেশ দিয়েছেন। ঘটনাটি একবছর আগে ঘটেছিল বলে মামলার আবেদনে উল্লেখ করা হয়।

মামলার আসামিরা হলেন— সিএমপির বায়েজিদ বোস্তামী থানার সাবেক ওসি মো. কামরুজ্জামান, উপপরিদর্শক (এসআই) অসীম দাশ ও নুরনবী, সাবেক এসআই সাইফুল ইসলাম, কে এম নাজিবুল ইসলাম, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) রবিউল হোসেন ও পুলিশের সোর্স মো. শাহজাহান ওরফে আকাশ। ওসি কামরুজ্জামান বর্ত মানে রংপুর রেঞ্জে সংযুক্ত রয়েছেন।

বাদীর আইনজীবী কাজী মফিজুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জাগো নিউজকে বলেন, সাইফুল ইসলামের মা ছেনোয়ারা বাদী হয়ে ৬ পুলিশ সদস্য এবং একজন সোর্সের বিরুদ্ধে মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেছেন। আদালত মামলাটি গ্রহণ করেছেন। এএসপি পদমর্যাদার নিচে নয় এমন একজন কর্মকর্তাকে দিয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সিএমপি কমিশনারের প্রতি নির্দেশনা দিয়েছেন।

মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ২০২১ সালের ১৬ জুন রাত সাড়ে নয়টার দিকে নগরের বায়েজিদ বোস্তামীর বাসা থেকে পতেঙ্গায় নিজের মালিকানাধীন রেস্তোরাঁয় যাওয়ার জন্য বের হন বাদীর ছেলে সাইফুল ইসলাম। ওই সময় পুলিশের সোর্স শাহজাহান তার ছেলের মোবাইলে কল দেন। কল দিয়ে জরুরি কাজের জন্য অক্সিজেন মোড়ে যেতে বলেন। অক্সিজেন মোড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ সদস্যরা সাইফুলকে একটি প্রাইভেটকারে তুলে নিয়ে যান। অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যরা সবাই সাদাপোশাকে ছিলেন। ওই কারে করে তার ছেলেকে পুরো শহর ঘোরানো হয়। দুই থেকে তিন ঘণ্টা গাড়িতে ঘোরানোর পর রাত সাড়ে ১২টার দিকে বায়েজিদ-সীতাকুণ্ড সংযোগ সড়কে নিয়ে যাওয়া হয় সাইফুলকে। নির্জন ওই সড়কে সাইফুলকে গাড়ি থেকে নামিয়ে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন পুলিশ সদস্যরা। তা না দিলে গুলি করে দেওয়ার হুমকি দেন। কিন্তু সাইফুল এত টাকা কোথা থেকে দেবেন জানালে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন পুলিশ সদস্যরা। পরে বাঁ ও ডান পায়ের হাঁটুর ওপর দুটি গুলি করা হয় সাইফুলকে। পরদিন সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সাইফুল নিজেকে দেখতে পান।

মামলার অভিযোগে আরও বলা হয়, পুলিশ গুলি করার কারণে আহত সাইফুলকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকদের পরামর্শে তার বাম পা কেটে ফেলতে হয়।

ইকবাল হোসেন/এমএএইচ/



https://ift.tt/VlvcWPH
from jagonews24.com | rss Feed https://ift.tt/1vrIF3R
via IFTTT
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url