বেঙ্গল সায়েন্টিফিককে কালো তালিকাভুক্তির আদেশ স্থগিত
দেশের বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে স্বাস্থ্য উপকরণ সরবরাহ করে আসছিল বেঙ্গল সায়েন্টিফিক অ্যান্ড সার্জিক্যাল কোম্পানি নামে একটি প্রতিষ্ঠান। ওই প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকাভুক্ত করে আদেশ দেয় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। প্রতিষ্ঠানটিকে কালো তালিকাভুক্তির ওই আদেশ স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।
ছয় মাসের জন্য এই স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে দুদক ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আদেশ কেন বাতিল ও অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
বুধবার (১৫ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। বেঙ্গল সায়েন্টিফিক অ্যান্ড সার্জিক্যাল কোম্পানির স্বত্বাধিকারী জাহের উদ্দিন সরকার ও নুসরাত জাহান রত্নার করা এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
রিট আবেদনকারীদের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন সাবেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল সিনিয়র আইনজীবী মুরাদ রেজা, অ্যাডভোকেট মো. রোকনুজ্জামান প্রিন্স, মিল্টন দাস ও স্বপ্নীল ভট্টাচার্য। দুদকের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার সাজ্জাদ হোসেন। এছাড়া রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
আদেশের পর অ্যাডভোকেট মো. রোকনুজ্জামান প্রিন্স জানান, কালো তালিকাভুক্তির আদেশ স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। ফলে বেঙ্গল সায়েন্টিফিক অ্যান্ড সার্জিক্যাল কোম্পানির ব্যবসা পরিচালনায় কোনো বাধা নেই।
আইনজীবী জানান, বেঙ্গল সায়েন্টিফিক অ্যান্ড সার্জিক্যাল কোম্পানি দীর্ঘদিন বাংলাদেশে সুনামের সঙ্গে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। এই কোম্পানি এর আগে দেশের বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে এক্স-রে, আল্ট্রাসনোগ্রাম, সিটি স্ক্যান, এমআরআই, ইকো, ব্লাড গ্যাস অ্যানালাইজার মেশিনসহ এক হাজারের বেশি উপকরণ সরবরাহ করেছে। বিভিন্ন নামীদামি কোম্পানির প্রস্তুত করা এসব মেশিনারিজ যথাযথভাবে সচল রয়েছে। কিন্তু দুদক ২০১৯ সালের ১২ ডিসেম্বর বেশ কয়েকটি কোম্পানিকে কালো তালিকাভুক্ত করতে মন্ত্রী পরিষদ সচিব এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে চিঠি দেয়।
ওই চিঠিতে বেঙ্গল সায়েন্টিফিক অ্যান্ড সার্জিক্যাল কোম্পানির নাম যুক্ত করা হয় উদ্দেশ্যমূলকভাবে। এরপর স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বেঙ্গল সায়েন্টিফিক অ্যান্ড সার্জিক্যাল কোম্পানিকে কালো তালিকাভুক্ত করে ২০২০ সালের ১৬ জানুয়ারি আদেশ জারি করে। দুদক ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আদেশ চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন করা হয়। এই রিট আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট দুদক ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আদেশের কার্যকারিতা ছয়মাসের জন্য স্থগিত করেন এবং রুল জারি করেন।
এফএইচ/কেএসআর
https://ift.tt/cAEK94g
from jagonews24.com | rss Feed https://ift.tt/qnDAZ6F
via IFTTT