নবম দফায় প্রভিশন ছাড় পেলো মার্চেন্ট ব্যাংক-ব্রোকারেজ হাউস

বর্তমান বাজার পরিস্থিতি বিবেচনায় ও শেয়ারবাজারের উন্নয়নের স্বার্থে প্রভিশন সংরক্ষণে মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউসগুলোকে আরও দুই বছর সময় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএসইসি। শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ থেকে অনাদায়ী ক্ষতির বিপরীতে প্রভিশন সংরক্ষণে এ সময় পাবে প্রতিষ্ঠানগুলো। এ নিয়ে নয় বারের মতো প্রভিশন সংরক্ষণের সময় বাড়ালো বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ৮৫৯তম কমিশন সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বুধবার (১৫ মার্চ) বিএসইসি থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।

মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউসের নিজস্ব ও গ্রাহকের পোর্টফোলিওতে পুনর্মূল্যায়নজনিত অনাদায়ী ক্ষতির বিপরীতে প্রভিশন সংরক্ষণের এ সুযোগ চলতি বছরের (২০২৩ সালের) ৩১ ডিসেম্বর শেষে হওয়ার কথা ছিল। নতুন করে সময় বাড়ানোয় এ সীমা নির্ধারিত হলো ২০২৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

অনাদায়ী ক্ষতির বিপরীতে প্রভিশন রাখার সুযোগ প্রথমে দেওয়া হয় ২০১৩ সালে। সে সময় বিএসইসি থেকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বলা হয়, মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো এখন পুনর্মূল্যায়নজনিত ক্ষতির ক্ষেত্রে নিয়মানুযায়ী ১০০ শতাংশের পরিবর্তে ২০ শতাংশ হারে প্রভিশন রাখতে পারবে। তবে তা ২০১২ সালের ৩১ ডিসেম্বর থেকে ২০১৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সমান ৫টি ত্রৈমাসিক অংশে রাখতে হবে।

এই সুযোগ পরে আরও কয়েক ধাপে বাড়ানো হয়। সর্বপ্রথম এই সুযোগ বাড়ানো হয় ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এক বছরের জন্য। এরপর বাজার পরিস্থিতি উন্নতি না হওয়ায় এর মেয়াদ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৫ পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়।

কিন্তু ২০১৫ সালে বাজার পরিস্থিতি আরও মন্দাভাব থাকায় মার্চেন্ট ব্যাংককারদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতের প্রভিশন সংরক্ষণের মেয়াদ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৬ পর্যন্ত বাড়ায় বিএসইসি।

এরপর ২০১৭ সালে বাজার পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়। তবে মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর পক্ষ থেকে দাবি করা হয় যে ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে তা পূরণ করতে আরও সময়ের প্রয়োজন। এ জন্য প্রভিশন সংরক্ষণের মেয়াদ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৭ পর্যন্ত বাড়ানোর দাবি করা হয়।

বিএসইসি সেই দাবি মেনে নিয়ে এক বছর সময় বাড়ায়। তবে ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বরর আগেই আর একদফা বাড়িয়ে প্রভিশন সংরক্ষণের সুযোগ ২০১৮ বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়।

এরপর আরও একদফা বাড়িয়ে ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর করা হয়। এরপর তা আরও দুই বছর বাড়িয়ে ২০২২ সাল পর্যন্ত করা হয়। ওই মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই আরও এক বছর বাড়িয়ে ২০২৩ সাল পর্যন্ত সুযোগ দেয় বিএসইসি। এখন তা আরও দুই বছর বাড়িয়ে ২০২৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হলো।

এমএএস/কেএসআর



https://ift.tt/cAEK94g
from jagonews24.com | rss Feed https://ift.tt/oy31UkX
via IFTTT
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url